টিপ শিট: সাইবার বুলিং কী? কীভাবে প্রতিকার-
টিপ শিট সাইবার বুলিয়িং চিনতে, প্রতিরোধ করতে এবং রিপোর্ট করতে সাহায্য করার জন্য শিশুদের, শিক্ষার্থীদের এবং অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে আমাদের টিপ শিট শেয়ার করুন। সাইবার বুলিং কী? আপনি কি কখনও …
প্রতি অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। মূলত মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইন হলো সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে একটি সম্মিলিত প্রয়াস। সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উদযাপনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এটা নিশ্চিত করা হয় যে, ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকতে ও অধিক নিরাপদ অনলাইনের জন্য যেসব পূঁজি থাকা আবশ্যক আমাদের তার সবই রয়েছে।
২০০৪ সাল থেকে আমেরিকা, ২০১১ থেকে নরওয়ে এবং ২০১২ থেকে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ অক্টোবরকে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করে আসছে। সাইবার দস্যুতা থেকে নাগরিকদের নিরাপদে থাকতে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি নেওয়া হয় এ মাসে।
বাংলাদেশে ২০১৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি বেসরকারি উদ্যোগে পালন শুরু হয়। ওই বছরের ১ অক্টোবর ঢাকার সেগুন বাগিচায় সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন) আয়োজিত ‘Cybersecurity: Context of Bangladesh’ শীর্ষক সেমিনার ছিল এই আয়োজনের প্রথম অনুষ্ঠান। এর পর থেকে প্রতি অক্টোবরে ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে মাসব্যাপী নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে সংগঠনটি।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এখন এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অক্টোবরের চার সপ্তাহে আলাদা থিম নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী প্রচারাভিযান বা ক্যাম্পেইন হয়। ২০২১ সাল থেকে দেশব্যাপী এই কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও প্রযুক্তি পেশাজীবীদের নিয়ে গঠন হয় ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ – এনসিক্যাম,বি’ – National Committee on Cybersecurity Awareness Month, Bangladesh – NCCAM,B। পরবর্তীতে এই কমিটির নাম সংশোধন করা হয় এবং ২০২৩ সাল থেকে কমিটির নতুন নাম প্রচারের সিদ্ধান্ত হয় ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ বা এনসিসিএ,বি (National Committee on Cybersecurity Awareness, Bangladesh (NCCA,B)’। এই কমিটি মূলত দেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে কাজ করবে।
নিরাপদ ইন্টারনেটের এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে পার্টনার হিসেবে থাকছে সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। জাতীয় কমিটির নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ‘ক্যাম ক্যাম্পেইন’ বিশ্বের বাংলাভাষীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করবে। পৌঁছে যাবে দেশের সব ভোক্তা, ছোট ও মাঝারি আকৃতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, করপোরেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তরুণ সমাজসহ তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিটি মানুষের কাছে।